যারা প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিন যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন তাদের জন্য এই লেখা সহায়ক হবে আশা করি।
সবার আগে সেন্টমার্টিন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দিচ্ছি; সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের ভূখন্ড,সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন। সেন্টমার্টিনের অপর নাম নারিকেল জিঞ্জিরা। আবার অনেকে একে দারুচিনি দ্বীপ বলেও আখ্যায়িত করে। সেন্টমার্টিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলাধীন। টেকনাফের মুল ভূখন্ড থেকে জাহাজ পথে সেন্টমার্টিনের দুরত্ব ৯ কিলোমিটার, মায়ানমারের ভূখন্ড থেকে দুরত্ব ৮ কিলোমিটার। সেন্টমার্টিনের আয়তন লম্বায় ৭ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ১ কিলোমিটার,তবে দক্ষিন অংশে দ্বীপটা ধীরে ধীরে সরু হয়ে গেছে। সেন্টমার্টিনের ৯ টি পাড়াকে ৯ টি গ্রাম ধরা হয় এবং একেকটি গ্রাম নিয়ে এক একটি ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড সৃষ্টি করা হয়েছে। সেন্টমার্টিনকে বাংলাদেশের ভূ-স্বর্গ বলা হয়!

সেন্টমার্টিনের মূল আকর্ষন:
১) সমুদ্রের নীল জলরাশি।
২) পাথর, শৈবাল, ঝিনুক, শামুক।
৩) সারি সারি নারিকেল গাছ।
৪) দারুন মিষ্টিস্বাদের তরমুজ।
৫) সমুদ্রের শান্ত ও মায়াবী ঢেউ।
৬) হরেক রকমের, রঙের সামুদ্রিক মাছ।
৭) বার্মিজ আচার,কাপড় ইত্যাদি দ্রব্যাদি।
৮) জোয়ার-ভাটার খেলা।
৯) অনিন্দ্য সুন্দর ছেড়াদ্বীপ।

যারা প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিন যাবে তাদের মনে নানা প্রশ্ন ভর করে! যেমন সেখানে বিদ্যুৎ আছে কি না, বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের ব্যবস্থা আছে কি না, হোটেল পেতে সমস্যা হয় কি না, হোটেল প্রাইস কেমন, নিরাপত্তা কেমন, খাবারের দাম কেমন, কিভাবে কোথা থেকে টিকিট কাটবো, জাহাজের টিকিট কিভাবে কাটতে হয় ইত্যাদি।
সকল প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি,
তবে তার আগে বলে রাখা ভাল যে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচলের সরকারি অনুমতি আছে সেপ্টেম্বর-মার্চ পর্যন্ত, তবে বিশেষ অনুমতি নিয়ে দু`য়েকটি জাহাজ এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলাচল করে। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত সমুদ্র অশান্ত থাকে তাই চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার তাই এই ৫ মাস জাহাজ চলতে দেয় না, তবে যারা বেশী সাহসী ও রোমাঞ্চ প্রিয় এবং অ্যাডেভেঞ্চার প্রিয় তারা এই ৫ মাসের মধ্যে সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে একমাত্র ভরসা হবে ট্রলার। তবে এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু ট্রলারে সেন্টমার্টিন যাত্রা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ। নভেম্বর- ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকে পুরো ঠাসা থাকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। তাই যারা তুলনামুলক কম খরচে সেন্টমার্টিনের অপরুপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকন করতে চান তাদের একমাত্র উপায় হলো অক্টোবর এবং মার্চ মাসে সেন্টমার্টিন ভ্রমন করা। কারণ এই সময়টাতে পর্যটকের সংখ্যা কম থাকে এখানে, ফলে হোটেল খরচ থেকে খাবার সব কিছুই মোটামুটি তুলনামুলক কম হয়। আমরা সেন্টমার্টিন গিয়েছিলাম মার্চের প্রথম সপ্তাহে তাই খুব একটা সমস্যা হয়নি। তবে অবশ্যই সরকারি ছুটির দিন এবং শুক্র ও শনিবার এড়িয়ে যেতে হবে, কারন এই দিনগুলোতে সব সবসময়ই পর্যটকে ঠাসা থাকে সেন্টমার্টিন।
ঢাকার ছোট বড় সব বাসস্ট্যান্ড থেকেই কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বাস যায়। তবে ঝামেলামুক্তভাবে যেতে চাইলে আপনাকে টেকনাফগামী বাসে যেতে হবে।
ঢাকার সায়দাবাদ, কল্যানপুর, আরামবাগ থেকে টেকনাফের উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ে। জাহাজ ধরতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে আগের রাত ৯ টার মধ্যে বাসে চড়তে হবে, নইলে দেরিতে বাসে উঠলে পরের দিনের জাহাজ মিস করার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে! আর মিস করা মানে আপনাকে হয় ট্রলারে যেতে হবে নতু্বা এক রাত টেকনাফে থাকতে হবে, এতে আপনার ভ্রমন ব্যয় বাড়বে।
টেকনাফ জাহাজ ঘাট থেকে প্রতিদিন ৫ টি জাহাজ সকাল ৯টায় সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছাড়ে এবং সেন্টমার্টিন থেকে প্রতিদিন বেলা ৩ টায় টেকনাফের উদ্দেশ্যে জাহাজ ছাড়ে। সবগুলো জাহাজ একসাথে যায় এবং একসাথেই আসে। জাহাজগুলোর মধ্যে এলসিটি কুতুবদিয়া, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এমভি পারিজাত, এমভি বে ক্রুজ ইত্যাদি অন্যতম।
তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন বাসের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে!
আরামবাগ তথা ফকিরাপুল থেকে গাড়িতে উঠা সবচেয়ে ভালো। প্রতিদিন টেকনাফের উদ্দ্যেশ্যে শ্যামলী, হানিফ, রয়েল কোচ, ইকোনো, সেন্টমার্টিন পরিবহন সহ বেশ কয়েকটি পরিবহনের বাস আরামবাগ থেকে ছাড়ে।
এসি টিকিটের মূল্য ১৭০০-১৮০০ টাকা এবং নন-এসি টিকিটের মুল্য ৯০০ টাকা।
আমরা সেন্টমার্টিন পরিবহনের রাত ৯টার বাসের টিকিট কেটেছিলাম। পরিবহন কোম্পানিটা ভালোই সার্ভিস দেয়। জ্যাম না থাকলে মোটামুটি সাড়ে ৮ টার মধ্যেই টেকনাফ ঘাটে পৌছে যাবেন। এরপর সেখানে ফ্রেশ হয়ে ঘাটপাড়ের হোটেল গুলোতে সকালের নাস্তা সেরে নিবেন, কারন আপনি দুপুরের আগে সেভাবে খাবার পাবেন না, জাহাজে ছোট একটা দোকান থাকলেও সব কিছুর দাম ডাবল । বাস থেকে নেমেই জাহাজের টিকিট কাটবেন। অনেকে ঢাকা থেকে শিপের টিকেট অগ্রিম কেটে রাখে। আমরা অবশ্য কোন টিকিটই অগ্রিম কাটি নাই, সব কাজ নগদে করেছি! ৫৫০-১৬০০ টাকার মধ্যে জাহাজের টিকিট বিক্রি হয়। জাহাজ ছাড়তে ছাড়তে সাড়ে নয়টা বাজবে, তবে আপনি আগেই উঠে পড়বেন, দেরি হলে সিট পাবেন না, কারন জাহাজ কোম্পানি গুলো নির্দিষ্ট আসনের চেয়ে অনেক বেশী টিকিট বিক্রি করে। জাহাজের টিকিটের একটি অংশ আপনাকে দিবে,এটা আপনাকে সংরক্ষণ করতে হবে, কারন ফেরার সময় এই অংশটা লাগবে। নাফ নদী পার হয়ে বঙ্গোপসাগর হয়ে সেন্টমার্টিন যেতে যেতে দুপুর ১২ টা বাজবে। জাহাজ পথে আপনি দারুন কিছু উপভোগ করতে পারবেন যদি আপনার মন ভ্রমন পিপাসী হয়!

জাহাজের চার পাশে সী-গার্ল পাখিদের উড়াউড়ি আপনাকে আনন্দিত করবে নিশ্চিত।
দুপুর ১২ টায় সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে নেমে সরাসরি চলে যান হোটেলের খোজে। ১২০০-২০০০ টাকার মধ্যে মোটামুটি মানের থাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। থাকতে পারবেন ২-৪ জন। তিন হাজারের উপরে গেলে বিলাসবহুল রুম পেয়ে যাবেন। আসল কথা হলো ‘যত গুড় তত মিষ্টি’!
প্রত্যেকটি হোটেলে চেক-ইন টাইম দুপুর ১২ টায় এবং চেক-আউট টাইম বেলা ১১ টায়। ১১ টার পরে ব্যাগ-প্যাক রাখতে চাইলে চেক-আউট করে হোটেলের রিসিপশনে রাখতে পারবেন, এ ক্ষেত্রে হোটেল বয়দের কিছু বকশিস দিলে ভালো হয়!
মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের সুবিধা ভালোই, তবে রকেটের সুবিধা খুব কম, অন্য কোন মোবাইল ব্যাংকিং চালু নেই এখানে।
নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারন নেই, এখানে একটি টুরিস্ট পুলিশ ফাড়ি, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের কার্যালয় রয়েছে। তবে রাতে কোন নির্জন স্থানে একা না যাওয়াই ভালো।
সেন্টমার্টিনে বিদ্যুৎ সুবিধা নেই, সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত পুরো দ্বীপে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দেয়া হয়, যার ফলে মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ চার্জ করতে সমস্যায় পড়তে হয়। যারা যাবেন তারা অবশ্যই পাওয়ার ব্যাংক সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন, নতুবা ছবি তোলার ইচ্ছাটা ধুলোয় গড়াগড়ি খাবে!
তবে আশার কথা হলো আমরা যখন সেন্টমার্টিন গিয়েছিলাম তখন দেখলাম বিদ্যুতের খুটি আনা হচ্ছে, হয়তো অচিরেই বিদ্যুৎ সুবিধা চালু হবে।
পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখুন, দেখার চোখে না দেখে পর্যটকের চোখে দেখুন,ভালো লাগবে। নইলে এর আসল সৌন্দর্য বুঝতে পারবেন না। চাইলে সাইকেল ভাড়া করে পুরো দ্বীপ প্রদক্ষিণ করতে পারেন। সাইকেলের ভাড়া ঘন্টা প্রতি ৩০-৪০ টাকা নিবে। পুরো দ্বীপটা সাইকেলে ঘুরতে ২ ঘন্টা সময় যথেষ্ট।
যেদিন যাবেন সেদিনই যদি ফিরে আসেন তবে আপনি সময় পাবেন মাত্র ৩ ঘন্টা, এতে আপনি সেন্টমার্টিনের অনেক কিছু দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই আমার মতে যারা যেদিন যাবেন সেদিনই ফিরে আসার পরিকল্পনা করছেন তাদের সেন্টমার্টিন যাবার দরকার নেই!

খাবারের জন্য সব মানের খাবারের হোটেল আছে, মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হবার কারনে সব জিনিসপত্রের দাম একটু বেশী। মোটামুটি মানের হোটেল দুপুরের বা রাতের খাবার খেতে জনপ্রতি ২২০-২৫০ টাকা পড়বে। ইচ্ছে মতো জীবিত মাছ অর্ডার করে ফ্রাই করে নিতে পারবেন। রাতে বার-বি-কিউ করে নিতে পারবেন।
সেন্টমার্টিন গেলেন কিন্তু নারিকেল বা তরমুজ খেলেন না, এটা হতে পারে না!
মায়ানমারের আচারের জন্য সেন্টমার্টিন বিখ্যাত, মায়ানমারের প্রায় সব ধরনের আচার এখানে পাওয়া যায়।
ফিরে আসার সময় অবশ্যই সঙ্গে করে আচার,কাঠবাদাম, হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছের শুটকি আনার চেষ্টা করবেন!
টাটকা শুকটির গন্ধে এক ধরনের মাদকতা আছে!!
রাতে সমুদ্রের পাড়ে বসে পড়ুন, অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করবে, সমুদ্রের গর্জন অসাধারণ অনুভূতি দিবে। সন্ধ্যার পর থেকেই বীচ গুলো আলোকিত হয়ে ওঠে নানা পদের খাবারের দোকানের আলোয়, এ সময়টায় উত্তর বীচটা বেশী জমজমাট থাকে।
সন্ধ্যার পর থেকেই সমুদ্রের পানি বাড়তে থাকে অর্থাৎ জোয়ার আসে, ভাটা শুরু হয় সকালে থেকে। পানি একদম নেমে যায় দুপুর ১ টার দিকে।
জোয়ার-ভাটার খেলা চলাকালীন খবরদার সাগরে নামবেন না! বিপদ হতে পারে, সাগরে নেমে মাস্তি করার সময় দুপুর ২ টা থেকে বিকেল টুকুই। তবে সেন্টমার্টিনের সব দিকটা সাগরে নামার জন্য নিরাপদ নয়, প্রয়োজনে স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনে-বুঝে নিরাপদ এরিয়ায় সাগরে নামবেন। আমার মনে হয় উত্তর বীচটা সাগরে নেমে গোসল করার ক্ষেত্রে অনেকটা নিরাপদ,তারপরও সাবধান থাকবেন। নইলে চোরাবালিতে বা কারেন্ট স্রোতে পড়ে আপনার ভবলীলা সাঙ্গ হতে সময় লাগবে না!

ছেড়াদ্বীপ যেতে চাইলে আপনাকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সকালের নাস্তা সেরে এক বোতল পানি কিনে নিয়ে ছেড়াদ্বীপের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হবেন। কেননা ছেড়াদ্বীপে পানির দাম সোনার চেয়েও বেশী!
ছেড়াদ্বীপ তিন উপায়ে যেতে পারবেন;
১) ট্রলারে করে। ভাড়া জনপ্রতি ১৬০ টাকা (রিজার্ভ করে নিলে ১৫০০-১৮০০ টাকা)
২) স্পিডবোডে করে। এক্ষেত্রে রিজার্ভ নিতে হবে। ভাড়া পড়বে ৩০০০-৩৬০০ টাকা।
৩) পায়ে হেটে। কোন খরচ লাগবে না!
তবে আমরা গিয়েছিলাম সাইকেল ভাড়া নিয়ে। অবশ্য আবার শেষ প্রান্তে গিয়ে আবার ডিঙি নৌকা ভাড়া করতে বাধ্য হয়ে ছিলাম, কারন তখনও পানি পুরোপুরি নামেনি।
ছেড়াদ্বীপে পৌছাতে হবে ১২ টার মধ্যে আর ফিরতে হবে ২ টার মধ্যে যদি ৩ টার ফিরতি জাহাজ ধরতে চান।
জাহাজ বেলা ৩ টায় সেন্টমার্টিন ত্যাগ করে, জাহাজ ধরতে চাইলে অবশ্যই ব্যাগ-প্যাক নিয়ে ২:৪৫ মিনিটের মধ্যে জাহাজে আপনার নির্ধারিত আসনে হাজির হবেন। জাহাজ সন্ধ্যা ৬ টায় টেকনাফ ঘাটে পৌছে।
ঢাকায় ফিরতে চাইলে সেন্টমার্টিন থেকে ফিরতি টিকিট কাটতে পারেন, সেন্টমার্টিনে বাস কোম্পানী গুলোর কাউন্টার আছে। আর যারা কক্সবাজার যাবেন তারা ঘাটে অনেক গাড়ি পাবেন।
কোন বিষয়ে জানার থাকলে অবশ্যই স্থানীয় জনগনের সহায়তা নিবেন, স্থানীয় মানুষগুলো খুবই সহজসরল, তারা আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে।
*যা করতে পারেন:
১) কোন বিপদে পড়লে টুরিস্ট পুলিশের সহযোগীতা নিবেন।
২) আপনার সঙ্গীকে কোথাও একা ছাড়বেন না।
৩) প্রয়োজনে স্থানীয় জনগনের সাহায্য নিতে পারেন।
৪) সাগরে নামার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৫) বিপদ এড়াতে নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়াদ্বীপে গমন ও প্রস্থান করুন।
৬) নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুন ‘আপনার দ্বারা সেন্টমার্টিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা?’
*যা করবেন না:
১) গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সেন্টমার্টিনকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষনা করেছে, তাই এর পরিবেশ পরিস্কার এবং স্বাভাবিক রাখুন।
২) সমুদ্র হতে পাথর, ঝিনুক, শৈবাল, শামুক সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকুন।
৩) যত্রতত্র ময়লা ফেলবেন না।
৪) বীচে নারকেলের খোসা, তরমুজের খোসা, পানির বোতল, খাবারের প্যাকেট ফেলবেন না।
৫) স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন, তাদের সাথে তর্কে জড়াবেন না।
*আমাদের সামনেই বেশ কয়েকজন শিক্ষিত বীচ নোংরা করছিল, পাথর, ঝিনুক সংগ্রহ করছিল। আমরা তাদের সামনেই বীচের ময়লা পরিস্কার করেছি। ইচ্ছে করছিলো তাদের থাপরাই! কিন্তু সুন্দরের মাঝে অসুন্দরের জন্ম দিতে চাইনি!!
সবসময় মনে রাখবেন সেন্টমার্টিন আমাদের এক অমূল্য সম্পদ,এটা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার।
কপিরাইট: আলমগীর হোসেন
TM:March 2018
TD:03-07 (3 days 4 nights)
অসাধারণ!!
LikeLike
আমাদের সঙ্গেই থাকুন!
LikeLike