কক্সবাজার ভ্রমণ

যারা দেশের পর্যটন সম্পর্কে মোটামুটি খোঁজ খবর রাখেন তাদের কাছে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে বলার কিছু নাই। বাংলাদেশের পর্যটন স্পট গুলোর মধ্যে সবার আগে যার নাম আসে সেটাই কক্সবাজার! কক্সবাজারের রুপের জৌলুস জানা থাকলেও সময়ের অভাবে অনেকের ঘুরতে যাওয়া হয় না। তাই সময় বের করে যখন পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যাবেন তখন এই লেখাটা আপনার সহায়ক হবে আশা করি।

পর্যটন সম্পর্কে আলোচনার আগে জেনে নেই জেলা কক্সবাজার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল কক্সবাজার। এটি বাংলাদেশের সর্ব-দক্ষিণের জেলা। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজার ১ নং সেক্টরের অধীন ছিল। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ কক্সবাজার জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। কক্সবাজারের উত্তরে চট্টগ্রাম জেলা,পূর্বে বান্দরবান জেলা ও নাফ নদী এবং মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং দক্ষিণে ও পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।

কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানসমূহঃ
১.কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
২.হিমছড়ি।
৩.ইনানী সমুদ্র সৈকত।
৪.সেন্টমার্টিন দ্বীপ।
৫.ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক।
৬.ছেঁড়া দ্বীপ।
৭.শাহপুরীর দ্বীপ।
৮.সোনাদিয়া দ্বীপ।
৯.আদিনাথ মন্দির, মহেশখালী।
১০.শাহ ওমরের সমাধি, চকরিয়া।
১১.রাখাইন পাড়া।
১২.বৌদ্ধ বিহার।

কিভাবে যাবেন এবং ভাড়া কত-
বাস যোগেঃ
যে কোন প্রান্ত থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে যাবার সবচেয়ে ভালো উপায় বাস সার্ভিস। ঢাকা থেকে সরাসরি প্রতিদিন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে অনেক পরিবহন কোম্পানীর বাস যায়। হানিফ,শ্যামলী,সোহাগ, গ্রীন লাইন, ঈগল,এস আলম সহ অন্যান্য পরিবহনের বাস চলাচল করে। ঢাকার ফকিরাপুল,কল্যানপুর, আরামবাগ, মতিঝিলসহ ছোট বড় প্রায় সকল স্ট্যান্ড থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। এসি ও নন এসি, ডিলাক্স ও সাধারণ এসব সরাসরি বাস পরিবহনের ভাড়া পড়বে ৭০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত। পর্যটন মৌসুমের বিড়ম্বনা এড়াতে আপনি বাসের টিকিট অগ্রীম কাটতে পারেন।
আবার ঢাকা থেকে বা দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যেতে পারবেন। এজন্য আপনাকে চট্টগ্রামে এসে কক্সবাজারগামী আন্তঃজেলা বাস সার্ভিসে উঠতে হবে। বাজেট বেশী থাকলে মাইক্রোবাসও ভাড়া নিতে পারেন।
ট্রেন যোগেঃ
এছাড়া ঢাকা থেকে ট্রেনে করেও চট্টগ্রাম পর্যন্ত আসতে পারবেন। পরে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়া যায়। ঢাকার কমলাপুর থেকে প্রতিদিন চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়ে যায়। তবে টিকেট বুকিং আগেভাগেই করে রাখা ভালো।
বিমান যোগেঃ
কক্সবাজার পৌছার সবচেয়ে ভালো ও আরামদায়ক মাধ্যম হলো আকাশ পথ। বিমানে করেও কক্সবাজার আসতে পারবেন। তবে এজন্য পকেট সামান্য ভারী থাকলেই হবে!

20181106_164702.jpg
লাবনী সী-পয়েন্ট        ©ছবি:লেখক

কক্সবাজার আসা তো হলো এখন চলুন প্রকৃতির স্বাদ নিই!
সারি সারি ঝাউ গাছের বাগান, বালুর নরম বিছানা, সামনে সুবিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার গেলে সকালে-বিকেলে শুধু সমুদ্রতীর ধরে হেটে বেড়াতে মন চাইবে। নীল জলরাশি আপনাকে মুগ্ধ করেই ছাড়বে। সমুদ্রের গর্জনের মনোমুগ্ধকর সমুদ্র সৈকতের নাম কক্সবাজার। অপরূপ সুন্দর বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার,যেটি বিশ্বরেকর্ড করেছে ২০০২ সালে। বিশ্বের সব দেশের নাগরিক এই কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকে। মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, মাতার বাড়ি, শাহপুরী, সেন্টমার্টিন, কক্সবাজারকে করেছে আরো আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন। জেলার বুক চিরে বয়ে গেছে মাতা মুহুরী, বাঁকখালী, রেজু, কুহেলিয়া ও নাফ নদী। পর্যটন, বনজসম্পদ, মৎস্য, শুটকিমাছ, শামুক, ঝিনুক ও সিলিকাসমৃদ্ধ বালুর জন্য কক্সবাজারের অবস্থান তাই ভ্রমণবিলাসী পর্যটকদের কাছে সবার উপরে।

20181106_165147.jpg
এখানে বালুর রাজত্ব!       ©ছবি:লেখক

গোসল করবেন? তবে সাবধান!….
কক্সবাজার গেলেন আর গোসল দিলেন না, এটা হতে পারে না!
সমুদ্রে নামার আগে অবশ্যই জোয়ার-ভাটার সময় জেনে নিন। এমন তথ্য সম্পর্কিত লাইফ গার্ডের বেশ কয়েকটি সাইনবোর্ড ও পতাকা রয়েছে বিচের বিভিন্ন স্থানে। জোয়ারের সময় সমুদ্রে গোসলে নামা নিরাপদ। এ সময় তাই জোয়ারের সময় নির্দেশিত থাকে, পাশাপাশি সবুজ পতাকা ওড়ানো হয়।
ভাটার সময়ে সমুদ্রে গোসল বিপজ্জনক ভাটার টানে মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারে যে কেউ। তাই এ সময় বিচ এলাকায় ভাটার সময় লেখাসহ লাল পতাকা ওড়ানো থাকলে সমুদ্রে নামা থেকে বিরত থাকুন। কোনোভাবেই দূরে যাবেন না। প্রয়োজনে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত লাইফ গার্ডের সহায়তা নিন। ওদের জানিয়ে বিচে নামুন। জোয়ার ভাটার খবর না নিয়ে কোন ভাবেই সাগরে নামবেন না।
ছবি তুলুন!….
কক্সবাজারে পর্যটন মৌসুমে শ দুয়েক বিচ ফটোগ্রাফার পর্যটকদের ছবি তুলে থাকে। প্রায় বিশ মিনিটের মধ্যেই এসব ছবি প্রিন্ট করে পর্যটকদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ডিএসএলআর ক্যামেরা হাতে লাল পোশাক পরা এসব বিচ ফটোগ্রাফারদের প্রত্যেকের রয়েছে একটি করে আইডি কার্ড। বেশ কয়েকটি স্টুডিও এ কাজের সঙ্গে জড়িত। সরকারি রেট অনুযায়ী ছবির মূল্য পরিশোধ করুন। আর হ্যা অবশ্যই কতগুলো ছবি তুলবেন তা আগেই বলে নিবেন, কারন ওদের ছবি তোলার গতি বিদ্যূতের মতো! ৫ মিনিটের মধ্যেই ৫০ টি ছবি তুলে ফেলতে পারে!। ১৫ মিনিটের মধ্যে আমাদের একশটির বেশী ছবি তুলে ফেলে ছিল। ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত সাইনবোর্ড মেইন বিচে দেখতে পাওয়া যায়। এসব বিচ ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে ছবি তোলার আগে আইডি কার্ড দেখে নেওয়া ভালো।
স্পিডবোট ভাড়াঃ
বিচে অনেকগুলো স্পিডবোট চলে। মেইন বিচ থেকে এগুলো চলাচল করে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত। ভাড়া এক রাউন্ড ১৫০ টাকা। এছাড়া খোলা স্পিডবোটের সাহায্যে চলে লাইফ বোট জনপ্রতি ভাড়া ৩০০ টাকার মতো।
বাইক ভাড়াঃ
তিন চাকার বেশ কয়েকটি বিচে চলার উপযোগী বাইক কক্সবাজার সৈকতে চলাচল করে। প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে এসব বাইকে রাউন্ড প্রতি ৮০-১০০ টাকা করে পর্যটকদের ব্যয় করতে হয়। ভরা মৌসুমে এসবের ভাড়ার তারতম্য হতে পারে।

20181106_164741.jpg
মেরিন ড্রাইভ রোড       ©ছবি:নাজমুল ইসলাম

হিমছড়ি ও ইনানী বিচ ভ্রমনঃ
কক্সবাজারের ১২ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে রয়েছে দুটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। একটি হলো হিমছড়ি এবং অন্যটি হলো ইনানী। কক্সবাজার সমুদ্র থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অন্যতম আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত ইনানী সমুদ্র সৈকত। আর এই সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পথে মাত্র ১২ কিলোমিটার গেলেই পাওয়া যাবে আরেক দর্শনীয় পর্যটন স্থান হিমছড়ি। হিমছড়ির পাহাড়েও উঠতে পারেন,আমরা পাহাড়ে উঠেছিলাম।

20180306_162440.jpg
হিমছড়ি পাহাড়ের চূড়ায় আমরা       ©ছবি:লেখক

যেতে হয় মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই সড়ক নির্মান করেছে। সড়কটির একপাশে উচু পাহাড় আরেক পাশে বঙ্গোপসাগর, দারুন অনুভূতি হবে আপনার। কলাতলী থেকে জিপে চড়ে যেতে পারেন এ জায়গা দুটিতে। খুব সকালে গেলে জায়গা দুটি ঘুরে আবার দুপুরের মধ্যেই ফিরতে পারবেন কক্সবাজার শহরে। কক্সবাজার থেকে জিপে যেতে পারবেন এখানে। রিজার্ভ নিলে খরচ পড়বে দেড় থেকে আড়াইহাজার টাকা। আর লোকাল জিপে গেলে এ জায়গা দুটি ঘুরে আসতে জনপ্রতি খরচ হবে দুই আড়াইশ টাকা। অটোরিক্সাও ভাড়া পাওয়া যায়। রিজার্ভ ভাড়া নেবে ৫০০-৭০০ টাকা। উঠতে পারবেন ৬/৭ জনের মতো। ইনানীতে খাবারের দাম একটু বেশী।

থাকার ব্যবস্থাঃ
এখানে থাকা সংক্রান্ত কোন টেনশনের কারনই নাই। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। এখানে আন্তর্জাতিকমানের বেশ কয়েকটি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এছাড়া সরকারি ও ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠেছে ছোট বড় বিভিন্ন মানের অনেক রিসোর্ট, হোটেল ও বোর্ডিং হাউস। সর্বনিম্ন ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকায় কক্সবাজারে যাতযাপন করা যায়। তবে কক্সবাজার ভ্রমণের পূর্বে ফোনে যোগাযোগ করে অগ্রীম বুকিং দিয়ে হোটেল নিশ্চিত করা ভালো। সরাসরি গিয়েও কথা বলে রুম ভাড়া নেওয়া যায়, এতে সমস্যা হবার কথা নয়। আমরা মাঝারী মানের হোটেলে উঠেছিলাম। ২ বেডের রুম ভাড়া নিয়েছিল ৮০০ টাকা। থাকা যায় ৪ জন। তখন সিজন প্রায় শেষের দিকে।

20181106_165059.jpg
সামুদ্রিক চিংড়ী ও কাঁকড়া ভাজা!       ©ছবি:লেখক

খাবার ও রেস্টুরেন্টঃ
প্রায় প্রতিটি আবাসিক হোটেল বা হোটেলের সন্নিকটে রেস্টুরেন্ট বা খাবার হোটেল রয়েছে। কক্সবাজার ভ্রমণে গিয়ে পর্যটকদের বেশি আকর্ষণ থাকে সাগরের বিভিন্ন মাছ। বিশেষ করে চিংড়ি, রূপচাঁদা, লাইট্যা, ছুরি মাছসহ মজাদার শুটকি মাছের ভর্তার প্রতিই পর্যটকদের আকর্ষণ বেশি থাকে। খাবারের মেন্যু অনুযায়ী একেক রেস্টুরেন্টে একেক ধরনের মূল্য তালিকা দেখা যায়। তবে বর্তমানে সরকার হোটেল গুলোতে মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশ দিয়েছে। এতে করে চড়া দামের সম্ভাবনা অনেকটা কমে গেছে। মূল্য তালিকা ভোজন রসিকদের আশ্বস্ত করেছে। আপনি মোটামুটি ৫০-৫০০ টাকার মধ্যে সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী মজাদার খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। তবে খাবার গ্রহণের পূর্বে খাবারের নাম, মূল্য এবং তৈরির সময় সম্পর্কে জেনে নিন। প্রয়োজনে খাদ্যের তালিকা ও মূল্য টুকে রাখুন। তালিকা সঙ্গে মিলিয়ে বিল প্রদান করুন। ঘুরতে গিয়ে বোকা হলে চলবে না!

20181106_164824.jpg
পাহাড়ে চড়া বেশ কষ্টকর!       ©ছবি:শিহাব আহমেদ

উপরে আলোচনা করেছি মূলত লাবনী সী-পয়েন্ট,কলাতলী এলাকা,হিমছড়ী ও ইনানী সৈকত নিয়ে। এর বাইরে কক্সবাজারের অন্যান্য পর্যটন স্পটগুলো ঘুরতে চাইলে আপনাকে নিজের মতো করে ভ্রমন পরিকল্পনা সাজাতে হবে। সকল স্পট ঘুরে দেখতে চাইলে আপনাকে ৩-৪ দিন কক্সবাজারে অবস্থান করতে হবে। কক্সবাজার শহর বা কলাতলী পয়েন্ট থেকেই সকল স্পটগুলোতে যাওয়ার বাহন পাবেন।
অন্যান্য স্পটগুলো-
১.রামু রাবার বাগান-
১৯৬০-৬১ সালে অনাবাদি জমি জরিপ করে গবেষণার মাধ্যমে রামুতে রাবার চাষাবাদ শুরু করা হয়। রামুর ঐতিহ্যবাহী এ রাবার বাগান আজ পর্যটনের একটি অংশ।
২.রামু বৌদ্ধ বিহার
বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা রামু। ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ পুরাকীর্তিসমৃদ্ধ রামুতে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন।
৩.মারমেইড ইকো রিসোর্ট-
ইনানীর কাছে পেঁচারদিয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে কক্সবাজার ভ্রমণকারীদের বড় আকর্ষণ পেঁচার দ্বীপ। এক পাশে ঝাউবনসমৃদ্ধ সমুদ্রসৈকত, অন্য পাশে উঁচু পাহাড়।
৪.শাহপরীর দ্বীপ
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থিত শাহপুরীর দ্বীপ। এটি মূলত সাবরাং ইউনিয়নের একটি গ্রাম।
৫.সোনাদিয়া দ্বীপ
সোনাদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার একটি সুন্দর দ্বীপ। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কি:মি:।
৬.কুতুবদিয়া দ্বীপ-
প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের কুতুবদিয়া দ্বীপ যা কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। কুতুবদিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। জেনারেটর ও সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
৭.ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক-
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটি কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া থানা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।

এবার ফেরার পালাঃ
কলাতলী পয়েন্টে প্রায় সকল বাস কোম্পানীর কাউন্টার রয়েছে। আসার দিন সকালে টিকিট কেটে রাখলে ভালো হয়। তবে চাপ কম থাকলে নগদেও কেটে গন্তব্যে ফিরতে পারবেন।

মনে রাখবেনঃ
প্রত্যেকটা পর্যটন এলাকা আমাদের জাতীয় সম্পদ। অতএব এর ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না। পরিবেশ পরিস্কার রাখুন। বেড়াতে গিয়ে সব কিছু চাহিদামতো রাজকীয় পাবেন এ চিন্তা এড়িয়ে চলুন! প্রয়োজনে স্থানীয় মানুষের সহযোগীতা নিন,স্থানীয় মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। বিপদে পড়লে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ বা ট্যুরিস্ট পুলিশের সহযোগীতা নিন। কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের ব্যাপক কার্যক্রম রয়েছে।
ভ্রমন করুন, দেশকে জানুন।
আপনার ভ্রমন হোক নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব।

*আমাদের ভ্রমনের সময়ের আলোকে লেখা। অতএব সময়ের সাথে সব ধরনের ভাড়া, গাড়ির সময় ইত্যাদি পরিবর্তন হতে পারে।
*কোন মতামত বা সংশোধনী কিংবা জিঙ্গাসা থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
*তথ্যগত কিছু সহায়তা উইকিপিডিয়া এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া হয়েছে।

©কপিরাইট: আলমগীর হোসেন
TM:March 2018
TD:03-07 (4 nights 3 days)

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s